রোযা অবস্থায় বিশেষ করে ইফতারের পূর্বে দুআ কবুলের সম্ভাবনা বেশি

রোযা অবস্থায় বিশেষ করে ইফতারের পূর্বে দুআ কবুলের সম্ভাবনা বেশি
(সাথে রয়েছে ইফতারের পূর্বে দুআ কবুলের হাদিসটির ব্যাপারে মুহাদ্দিসদের বক্তব্য)
▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬
রোযা অবস্থায় দুআ করলেও তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
ثلاث دعوات لا ترد : دعوة الوالد لولده ، ودعوة الصائم ودعوة المسافر
“তিন ব্যক্তির দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। সন্তানদের জন্য পিতার দুআ, রোজাদারের দুআ ও মুসাফিরের দুআ।” (বায়হাকী, সহীহুল জামে হা/২০৩২)

তবে বিশেষকরে ইফতারে পূর্বে দুআ কবুলের সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন:
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
إنَّ للصائمِ عندَ فِطرِه لَدعوةً ما تُرَدُّ قال سمِعتُ عبدَ اللهِ يقولُ عندَ فِطرِه : اللهم إني أسألُكَ برحمتِكَ التي وسِعَتْ كلَّ شيءٍ أن تغفِرَ لي – زاد في روايةٍ : ذُنوبي
“রোজাদারের ইফতারের সময়ের দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না।” তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. কে ইফতার করার সময় বলতে শুনেছি:
اللهم إني أسألُكَ برحمتِكَ التي وسِعَتْ كلَّ شيءٍ أن تغفِرَ لي
”হে আল্লাহ, তোমার সর্বব্যাপী দয়ার ওসিলায় প্রার্থনা করছি, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।” অন্য বর্ণনায়: “আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও।”
💠 ইমাম বুসীরী তার ইতহাফুল মাহারা গ্রন্থে (৩/১০২) উক্ত হাদিসটির ব্যাপারে বলেন, হাদিসটি সহীহ। আর এর সমর্থনে আরও হাদিস রয়েছে।
💠 ইবনে হাজার রহঃ “রোজাদারের ইফতারের সময়ের দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না।” হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলে সাব্যস্ত করেছেন। [ আল ফাতুহাত আর রাব্বানিয়াহ ৪/৩৪২)]
💠 আহমদ শাকিরও উক্ত হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন। [উমদাতুত তাফসীর ১/২২৫)০

💠 তবে ইমাম আলবানী হাদিসটিকে জঈফ বা দুর্বল বলেছেন। (জঈফ ইবনে মাজাহ হা/৩৪৫)

মোটকথা, হাদিসটি সহীহ/জঈফ হওয়ার ব্যাপারে মুহাদ্দিসদের মাঝে দ্বিমত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ইফতারের সময় মানুষ ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে, ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর থাকে। এমন কষ্টকর পরিস্থিতিতে দুআ করলে তা কবুলের সম্ভাবনা থাকে-যেমনটি বলেছেন আল্লামা উসাইমীন রহ.।
সুতরাং রোযা অবস্থায় সারাদিন বেশী বেশী দুআ করার চেষ্টা করার উচিৎ। বিশেষ করে ইফতারে সময়। হতে পারে, দয়াময় আল্লাহ আমাদের দুআ কবুল করবেন। আল্লাহ তাওফিক দানকারী।
▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি,
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।।