রোগীকে রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁক করার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দুআ

রোগীকে রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁক করার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দুআ:
(আরবী টেক্স, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ)
••••••••••••••••••••
💠 ১ম দুআ:
بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহি আরক্বীকা
মিন কুল্লি শাইয়িন ইউযীকা
মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আয়নিন হাসিদিন
আল্লাহু ইয়াশফীকা
বিসমিল্লাহি আরক্বীকা। ”
অর্থ:
“আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাঁড়ফুক করছি, কষ্টদায়ক সকল কিছুর ক্ষতি হতে, যে কোনো মানুষ বা বদনযর অথবা হিংসুকের হিংসার নজর হতে। আল্লাহ তোমাকে রোগমুক্ত করুন, আমি তোমাকে আল্লাহর নামে ঝাঁড়ফুক করছি।” (সাহীহ মুসলিম: ৪/১৭১৮)।

💠 ২য় দুআ:
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ

উচ্চারণ:
আঊযুকি বিকালিমা তিল্লাহিত তাম্মাহ
মিন কুললি শয়ত্বানিন ওয়া হাম্মাহ।
ওয়া মিন কুলি আইনিন লাম্মাহ।

অর্থ: “আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় সকল শয়তান ও বিষাক্ত জীব-জন্তু থেকে ও যাবতীয় ক্ষতিকর চোখ (বদনজর) হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” (সাহীহ আল বুখারী ৪/১৪৭, নং ৩৩৭১)।

এ দুটি দুআ পড়ে রোগীর শরীরে সরাসরি ফুঁ দিতে হবে।

 উল্লেখ্য যে, কেউ যদি নিজে নিজের শরীরে রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁক করতে চায় তাহলে ১ম দুআটি বলবে এভাবে:
بِاسْمِ اللهِ أَرْقِينِىْ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِينِىْ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِينِىْ بِاسْمِ اللهِ أَرْقِينِىْ

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরক্নীনী।
মিন কুল্লি শায়ইন ইউযীনী।
মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আয়নিন হাসিদিন,
আল্লাহ ইয়াশফীনী।
বিসমিল্লাহি আরক্বীনী ”
অর্থাৎ আরবী সর্বনাম ‘কা’ (তোমাকে) এর পরিবর্তে ‘নী’ (আমাকে) পাঠ করতে হবে।
অবশ্য, কোন ব্যক্তি যদি আরবী ভাষা না জানার কারণে সর্বনাম পরিবর্তন করতে না পারে তাহলে হাদিসে যে শব্দে বর্ণিত হয়েছে হুবহু সে শব্দেই পাঠ করবে কিন্তু মনে মনে নিজেকে নিয়ত করবে। এভাবে করলেও যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের অবস্থা ও নিয়তের খবর রাখেন।
••••••••••••••••••••
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, ksa