রিংটোন হিসেবে কুরআনের আয়াত, আযান, দুআ, তাসবীহ, তাকবীর ইত্যাদি ব্যবহার করা বৈধ কি

উত্তর:
মোবাইলের রিংটোন হিসেবে, আযান, দুআ, যিকির তাকবীর, তাসবীহ ইত্যাদি বিশেষ করে কুরআনের আয়াতকে ব্যবহার করা বৈধ নয়।
কেননা,
🌀 যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন চুপ থেকে মনোযােগ সহকারে তা শুনার নির্দেশ এসেছে। কিন্তু যখন কেউ কল করে আর মোবাইলে রিংটোন হিসেবে কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত হতে থাকে তখন কল রিসিভ করে আল্লাহর বাণী শুনা বন্ধ করে মানুষের কথা শুরু হয়। এটি কুরআনের প্রতি ‘অবজ্ঞা প্রদর্শন’ হিসেবে গণ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং তা বর্জনীয়।
🌀 তাছাড়া এমন সময় ফোন রিসিভ করা হতে পারে যখন আয়াতটি সম্পূর্ণভাবে তিলাওয়াত করা হয় নি বা দুআ বা তাসবীহের বাক্যটি পূর্ণ হয় নি। তাহলে এ ক্ষেত্রে বাক্যটি অসম্পূর্ণ থাকার কারণে অর্থের বিকৃতি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
🌀 আরেকটি সমস্যা হল, অনেক সময় মানুষ মোবাইল সহ টয়লেটরত অবস্থায় থাকে। তখন হঠাৎ কারো কলের কারণে সেখানে আযান, দুআ-তাসবীহ পাঠ বা কুরআন তিলাওয়াত শুরু হয়। টয়লেট হল নাপাক স্থান। সুতরাং সেখানে আল্লাহ বাণী ও দুয়া-যিকির উচ্চারণ করা বা বাজানো এগুলোর সম্মানহানীর শামিল।

📱 মোবাইল রিংটোন কেমন হওয়া উচিৎ?
তবে রিংটোন হিসেবে গানবাজনা, মিউজিক বা বিরক্তিকর কিছু ব্যবহার না করে সাধারণ হালকা রিংটোন ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা কোন কবিতার পঙ্কতি, জ্ঞানের কথা, উপদেশ মুলক বাণী ইত্যাদিকেও রিংটোন হিসেবে ব্যবহারে আপত্তি নেই ইনশাআল্লাহ।
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।।