প্রশ্ন: রমজান মাসের প্রথম দিন এক বৃদ্ধা আমার সাথে দেখা করেছেন। তাঁর বয়স ১০০ বছরের মত হবে। কখনও তাঁর হুশ থাকে, আবার কখনও থাকে না। তিনি আমার কাছে কফি চাইলেন। আমি তাঁকে কফি বানিয়ে খাইয়েছি। এতে কি আমার গুনাহ হবে? অবশ্য আমি তাঁকে বলেছিলাম আমরা এখন রমজান মাসে আছি। আমাকে এর উত্তর জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন।
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
“যদি বাহ্যতঃ দেখা যায় যে, উনি বেহুঁশ এবং বুদ্ধি-বিকলতা ও বার্ধক্যে আক্রান্ত তবে তাঁকে কফি বানিয়ে খাওয়াতে কোন দোষ নেই। কারণ তাঁর উপর সিয়াম পালন আবশ্যক নয়। তার কিছু হুঁশ থাকা যেমন তিনি বলতে পারেন, ‘তোমরা এটি কর বা এটি দাও’ তার বিবেক-বুদ্ধি বহাল থাকার প্রমাণ বহন করে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যিনি ১০০ বছর বয়সে পৌঁছেছেন তার বিবেক বিপর্যয় ও পরিবর্তন ঘটে। আপনি যদি তাঁর অবস্থা দেখে বোঝেন যে, তিনি হুঁশ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ভারসাম্যহীন তবে তাঁর পানাহার করায় কোন দোষ নেই। আর আপনি যদি দেখেন যে, তার হুঁশ আছে এবং তিনি রোজা পালনে অবহেলা করছেন তবে কফি বা অন্য কিছু দিবেন না – যাতে করে আপনি গুনার কাজে সাহায্যকারী না হন। আল্লাহ তাআলা বলেন:
(وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ) [5 المائدة : 2]
“পুণ্য কাজ ও তাক্বওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমা লঙ্ঘনে একে অন্যকে সহযোগিতা কর না।”[৫ সূরা আল-মায়েদা: ২]
তাই কোন সুস্থ মুসলিম রমজান মাসে খাবার চাইলে তাকে তা দেওয়া যাবে না। খাবার, পানীয়, ধূমপান কিছুই করতে দেওয়া যাবে না। কোন গুনাহর কাজে সাহায্য করা যাবে না। আর যাদের হুঁশ নেই যেমন- উন্মাদ, অতিবৃদ্ধ, পাগল ও অতিবৃদ্ধা এদের ক্ষেত্রে কোন গুনাহ হবে না। কারণ তারা রোজা পালনের দায়িত্ব থেকে মুক্ত।” সমাপ্ত
মাননীয় শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায রাহিমাহুল্লাহ