ছবি ও কারুকার্য খচিত জায়নামাজে নামায আদায় এবং জায়নামাজ বা অন্য কোথাও অঙ্কিত কাবা শরিফের ছবিতে পা লেগে যাওয়া

প্রশ্ন: ক. অনেক জায়নামাজে কাবা শরিফের ছবি আঁকা থাকে। এতে নামাজ শুদ্ধ হবে কি না? অনেকের ধারণা কাবা ঘরের ছবি আঁকা জায়নামাজে নামায হয় না। এ কথা কি সঠিক?

খ. চলতে ফিরতে যদি অসতর্কতার কারণে কখনও জায়নামাজ বা অন্য কোন কিছুতে থাকা কাবা শরীফের ছবিতে পা লাগে তবে কি পাপ হবে?

উত্তর:

🌀 বর্তমানে জায়নামাজ বা মসজিদের কার্পেটে কাবা শরিফ, বিভিন্ন মসজিদ, ফুল-প্রকৃতি ইত্যাদির ছবি অঙ্কিত থাকে। কোনটা আবার রঙ-বেরঙ্গের কারুকার্য খচিত। যথাসম্ভব এ সব জায়নামাজ এড়িয়ে চলা উচিৎ। বরং ছবি ও নকশা মুক্ত সাদামাটা কার্পেট ও জায়নামাজে নামায পড়ার চেষ্টা করা কর্তব্য। কেননা, এসব ছবিযুক্ত বা কারুকার্য খচিত জায়নামাজে নামায পড়লেে নামাযীর মনোযোগ বিঘ্নিত হয়। এগুলো তার মনোযোগ কেড়ে নেয়। তবে তাতে নামায পড়লেও নামায শুদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু যথাসম্ভব এ সব ছবি আর নকশার প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টিপাত না করে অন্তরে ভয়-ভীতি, ইখলাস ও আন্তরিকতা সৃষ্টির প্রতি মনোযোগী হতে হবে।

🌀 যদি জায়নামাজ বা অন্য কোথাও কাবা ঘরের ছবি থাকে আর অসর্তকতা বশত: তাতে পা লেগে যায় তাহলে তাতে কোন গুনাহ নেই। কেননা, এ ক্ষেত্রে কাবা ঘরের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন উদ্দেশ্য থাকে না। তবে এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্ব করা উচিৎ।

অবশ্য কেউ যদি অবজ্ঞা বশত: বা কা’বা শরিফকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে তাতে পা দেয় তাহলে নি:সন্দেহে তা শুধু হারাম নয় বরং এ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তার ঈমান চলে যাবে এবং ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যাবে। আল্লাহু আলাম।
▬▬▬🌐🔸🌐▬▬▬
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব