ঈমান রক্ষায় কাদিয়ানী মতবাদ সম্পর্কে সচেতন হোন

প্রশ্ন: কাদিয়ানী কাদেরকে বলা হয়? তাদের আকীদা কি? তারা কি মুসলিম?

উত্তর:
ভারতের কাদিয়ান নামক অঞ্চলে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (জন্ম: ১৮৩৫ মৃত্যু: ১৯০৮ খৃষ্টাব্দ) নামক এক ব্যক্তি নিজেকে নবী বলে দাবী করে। কাদিয়ান এলাকার অধিবাসী হিসেবে তাকে কাদিয়ানী বলা হয়। আর তার অনুসারীদেরকে বলা হয় কাদিয়ানী সম্প্রদায়।
এ ব্যক্তি হল ভণ্ড, প্রতারক। সে নিজেকে পর্যায় ক্রমে মাহদী মুন্তাতাযার (প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদী), ঈসা মসীহ এবং সব শেষে নিজেকে একজন নবী হিসেবে দাবি করে।
ইসলামের দৃষ্টিতে যে ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ‘শেষ নবী’ হিসেবে বিশ্বাস করবে না সে কাফির-মুরতাদ। কেননা, কুরআন ও হাদিস দ্বারা এটি স্পষ্ট যে, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাতামুল আম্বিয়া ও সর্বশেষ নবী-রাসূল। তার পরে আর কোন নবী-রাসূল আগমণ করবেন না।
ইসলামের এ অপরিহার্য বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হওয়া এবং কথিত গোলাম আহমদ কে নবী হিসেবে অনুসরণ করায় কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুসলিম নয়।

তাদের একটি সংগঠন আছে। যার নাম, আহমদিয়া মুসলিম জামাআত। এরা বাংলাদেশে বেশ সক্রিয়। সরকারীভাবে তাদেরকে কাফির ঘোষণা করার দাবী এ দেশের আলেম-ওলামাদের বহু দিনের কিন্তু সরকার তা এখনো করে নি। অথচ ওআইসি ভুক্ত প্রায় সকল মুসলিম দেশ তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফির ঘোষণা করেছে। এমনকি কোনও কোনও অমুসলিম দেশেও সরকারীভাবে আহমাদিয়া মুসলিম জামাআতকে অমুসলিম হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এই কাদিয়ানী মতবাদ সম্পর্কে লন্ডন থেকে সম্প্রচারিত টিভি চ্যানেল MTV, পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে চলছে রমরমা প্রচারণা। যার কারণে ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত সহজ-সরল মুসলিমরা তাদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে ঈমান হারা হচ্ছে। তাই তাদের এ সকল প্রচারণা বন্ধ হওয়া ঈমানের দাবী।

এ বিষয়ে মুসলিমদেরকে সচেতন হতে হবে, সচেতন করতে হবে এবং ‘খতমে নবুওয়ত’ সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহর বক্তব্য ও বিশুদ্ধ আকীদা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হবে।

আল্লাহ যেন এই কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করেন। আমীন।